All-Herbs Treatment

যষ্টিমধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা | যষ্টিমধু কীভাবে খাবেন 

যষ্টিমধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

যষ্টিমধু প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদ ও ইউনানি চিকিৎসায় ব্যবহৃত একটি উপকারী ভেষজ। যষ্টিমধু খাওয়ার উপকারিতা (jostimodhu khawar Upokarita) অনেক। যেমনঃ গলার সমস্যা, হজমের উন্নতি, কাশি ও মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে এটি ম্যাজিকের মতো কাজ করে।

যষ্টিমধু একটি প্রাকৃতিক ভেষজ, যা বহু বছর ধরে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি গলা ব্যথা, কাশি ও হজমের সমস্যায় দারুণ উপকারী। যষ্টিমধু দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

তবে অতিরিক্ত বা ভুলভাবে সেবন করলে কিছু অপকারিতাও রয়েছে। অতিরিক্ত সেবন করলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে, শরীরের পটাশিয়ামের মাত্রা কমে দুর্বলতা আসতে পারে এবং হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে। তাই উপকার পেতে হলে এটি পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত। বিশেষ করে যারা উচ্চ রক্তচাপ বা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন, তাদের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

যষ্টিমধু গুঁড়া। যষ্টিমধু পাউডার | Liquorice Powder

যষ্টিমধু গুঁড়া অর্ডার করতে উপরের ছবিতে ক্লিক করুন।

যষ্টিমধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

যষ্টিমধু একটি জনপ্রিয় ভেষজ, যা ঠান্ডা, কাশি, গলা ব্যথা এবং হজমজনিত সমস্যায় উপকারী। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহনাশক উপাদান থাকায় এটি লিভার ও হার্টের জন্য ভালো হতে পারে। এছাড়া এটি মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক। তবে অতিরিক্ত সেবনে রক্তচাপ বৃদ্ধি, শরীরে অতিরিক্ত জল ধারণ এবং পটাশিয়ামের ঘাটতি হতে পারে। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের এটি সতর্কতার সাথে গ্রহণ করা উচিত। সঠিক মাত্রায় সেবন করলে এটি উপকারী, তবে মাত্রাতিরিক্ত গ্রহণ ক্ষতিকর হতে পারে।

যষ্টিমধু খাওয়ার উপকারিতা

যষ্টিমধু খাওয়ার উপকারিতা

যষ্টিমধু কী ?.

যষ্টিমধু একটি প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান, যা মূলত লিকারিশ রুট (Licorice Root) নামে পরিচিত। এটি গাছের মূল থেকে সংগ্রহ করা হয় এবং আয়ুর্বেদিক, ইউনানি ও চীনা চিকিৎসা পদ্ধতিতে বহু বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যষ্টিমধু স্বাদে মিষ্টি এবং এটি বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে কার্যকর।

বৈজ্ঞানিক নাম:

Glycyrrhiza glabra

মূল বৈশিষ্ট্য:

যষ্টিমধুতে গ্লাইসিরাইজন (Glycyrrhizin) নামক প্রাকৃতিক রাসায়নিক থাকে, যা এটি মিষ্টি স্বাদ প্রদান করে এবং এর ওষধি গুণাগুণের জন্য দায়ী।এটি শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং ইমিউন-বুস্টিং বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন।

ব্যবহার:

 চিকিৎসা ক্ষেত্রে:

  • সর্দি, কাশি, এবং গলা ব্যথা উপশমে।
  • হজমশক্তি উন্নত করতে।
  • ত্বকের সমস্যা নিরাময়ে।
  • লিভার ও কিডনির কার্যকারিতা বাড়াতে।

 পুষ্টি ও সৌন্দর্যচর্চায়:

  • এটি বিভিন্ন প্রসাধনী পণ্যে ব্যবহৃত হয়, যেমন ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর ক্রিম।
  • চুলের যত্নেও এটি কার্যকর।

 খাদ্য শিল্পে:

  • লিকারিশ ক্যান্ডি, চা এবং পানীয় তৈরিতে।

পরিচিতি:

  • যষ্টিমধু গাছের শিকড়ের পাউডার, লিকুইড বা ট্যাবলেট আকারে পাওয়া যায়।
  • এটি পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে জন্মায়, বিশেষত দক্ষিণ ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ায়।
  • যষ্টিমধু একটি শক্তিশালী ভেষজ উপাদান, তবে এটি ব্যবহারের আগে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও ডোজ সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি।

যষ্টিমধু খাওয়ার উপকারিতা ও যষ্টিমধু কীভাবে খাবেন?

যষ্টিমধু খাওয়ার উপায় নির্ভর করে এর ব্যবহার ও প্রয়োজনের উপর। এটি বিভিন্নভাবে গ্রহণ করা যায়। নিচে যষ্টিমধু খাওয়ার কিছু সাধারণ পদ্ধতি দেওয়া হলো:

গলা ব্যথা বা কাশির জন্য:

  • উপাদান:যষ্টিমধু গুঁড়ো বা লাঠি (root stick) গরম পানি
  • পদ্ধতি:এক কাপ গরম পানিতে আধা চা চামচ যষ্টিমধু গুঁড়ো মিশিয়ে চা হিসেবে পান করুন।লাঠি আকারে যষ্টিমধু চুষে গলাব্যথা উপশম করতে পারেন।

 হজমের উন্নতির জন্য:

  • উপাদান:যষ্টিমধু গুঁড়ো, গরম পানি বা দুধ
  • পদ্ধতি:এক গ্লাস কুসুম গরম দুধে ১/৪ চা চামচ যষ্টিমধু গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন।
  • খাবারের পর এটি পান করলে হজমশক্তি উন্নত হয়।

 ঠান্ডা-কাশি এবং শ্বাসতন্ত্রের জন্য:

  • উপাদান:যষ্টিমধু, গুঁড়ো,মধু,আদা
  • পদ্ধতি:এক চা চামচ যষ্টিমধু গুঁড়ো, আধা চা চামচ মধু এবং সামান্য আদার রস মিশিয়ে খান।দিনে দুইবার এই মিশ্রণ গ্রহণ করুন।

লিভারের যত্নে:

  • উপাদান:যষ্টিমধু গুঁড়োপানি
  • পদ্ধতি:১/২ চা চামচ যষ্টিমধু গুঁড়ো এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে পান করুন।এটি লিভারের ডিটক্স করতে সাহায্য করে।

 ত্বকের যত্ন যষ্টিমধু খাওয়ার উপকারিতা  (অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক):

  • অভ্যন্তরীণ:যষ্টিমধু চা পান করুন।
  • বাহ্যিক:যষ্টিমধু গুঁড়ো ও গোলাপজল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন এবং মুখে লাগান।

মানসিক চাপ কমাতে:

  • উপাদান:যষ্টিমধু চা
  • পদ্ধতি:গরম পানিতে যষ্টিমধু গুঁড়ো মিশিয়ে চা তৈরি করুন।এটি পান করলে মানসিক চাপ কমে।

পরামর্শ:

  • যষ্টিমধু দৈনিক ৫ গ্রাম বা তার কম পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত।
  • গর্ভবতী বা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের এটি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়।
  • দীর্ঘমেয়াদে নিয়মিত খাওয়া এড়ানো উচিত, কারণ এটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
  • যষ্টিমধু খাওয়ার আগে এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত কিনা তা নির্ধারণ করতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

যষ্টিমধু গুড়া খাওয়ার নিয়ম

যষ্টিমধু খাওয়ার উপকারিতা পেতে হলে সঠিক নিয়মে সেবন করা জরুরি। যষ্টিমধু গুঁড়ো খাওয়ার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে যা এর কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়াতে সহায়ক। নিচে যষ্টিমধু গুঁড়ো খাওয়ার উপকারিতা বিভিন্ন নিয়ম দেওয়া হলো:

  •  সাধারণ স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য:প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১/৪ থেকে ১/২ চা চামচ যষ্টিমধু গুঁড়ো এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন।এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং শরীরকে ডিটক্স করতে সহায়ক।
  • সর্দি, কাশি এবং গলা ব্যথার জন্য:১/২ চা চামচ যষ্টিমধু গুঁড়ো এবং ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।দিনে ২-৩ বার এই মিশ্রণ গ্রহণ করলে উপশম হয়।
  •  হজমশক্তি উন্নত করতে:খাবারের পর ১/৪ চা চামচ যষ্টিমধু গুঁড়ো গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন।এটি গ্যাস, অম্বল এবং হজমজনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
  •  মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে:১/২ চা চামচ যষ্টিমধু গুঁড়ো এক কাপ গরম দুধে মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে পান করুন।এটি মানসিক চাপ কমায় এবং ভালো ঘুম আনতে সহায়ক।
  •  পেটের আলসার বা গ্যাস্ট্রিকের জন্য:সকালে খালি পেটে ১/৪ চা চামচ যষ্টিমধু গুঁড়ো গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন।এটি আলসারের প্রদাহ কমায় এবং গ্যাস্ট্রিক উপশম করে।
  • লিভারের যত্নে:প্রতিদিন সকালে ১/৪ চা চামচ যষ্টিমধু গুঁড়ো হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন।এটি লিভারকে ডিটক্স করে।
  • ত্বকের জন্য:অভ্যন্তরীণ ব্যবহারে:প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম পানিতে ১/৪ চা চামচ যষ্টিমধু গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন।
  • বাহ্যিক ব্যবহারে:যষ্টিমধু গুঁড়ো, মধু এবং গোলাপজল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন এবং ত্বকে লাগান।

পরামর্শ:

  • যষ্টিমধু গুঁড়ো দৈনিক সর্বোচ্চ ৩-৫ গ্রাম এর বেশি খাওয়া উচিত নয়।
  • এটি দীর্ঘমেয়াদে নিয়মিত খেলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
  • উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, বা গর্ভাবস্থায় যষ্টিমধু খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
  • একাধিকবার খাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবার অন্তত ৬ ঘণ্টা বিরতি দিন।
  • যষ্টিমধু গুঁড়ো নিয়ম মেনে খেলে এর উপকারিতা উপভোগ করা যায় এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়ানো সম্ভব।

যষ্টিমধু গাছ দেখতে কেমন

যষ্টিমধু খাওয়ার উপকারিতা পেতে হলে যষ্টিমধু গাছ চিনতে হবে। যষ্টিমধু গাছ দেখতে একটি ছোট থেকে মাঝারি আকৃতির গুল্মজাতীয় গাছ। এটি সাধারণত ১-১.৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এই গাছের শিকড় থেকে যষ্টিমধু সংগ্রহ করা হয়, যা এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

যষ্টিমধু গাছের বৈশিষ্ট্য:

  • উচ্চতা: যষ্টিমধু গাছ সাধারণত ১ থেকে ১.৫ মিটার লম্বা হয়। তবে কিছু গাছ ২ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
  •  পাতা: গাছের পাতা গাঢ় সবুজ রঙের এবং যৌগিক আকারের।প্রতিটি পাতার ডালে ৯-১৭টি ছোট পত্রিকা থাকে।
  •  ফুল:যষ্টিমধু গাছের ফুলগুলো ছোট এবং সাধারণত হালকা বেগুনি বা নীল রঙের হয়। ফুলগুলো সাধারণত গুচ্ছাকারে থাকে।
  • ফল:ফলগুলো ছোট ও লম্বাটে আকৃতির।প্রতিটি ফলের ভেতরে ২-৫টি বীজ থাকে।
  •  শিকড়:শিকড় গাছের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা মাটির নিচে বেড়ে ওঠে।, শিকড় মোটা, লম্বা এবং মিষ্টি স্বাদযুক্ত। শিকড়েই মূলত ঔষধি গুণাবলি থাকে।
  • বৃদ্ধি স্থান:যষ্টিমধু গাছ প্রধানত গরম এবং শুষ্ক জলবায়ুতে জন্মে। , এটি সাধারণত বেলে বা দোআঁশ মাটিতে ভালোভাবে জন্মায়।
  • চাষাবাদের এলাকা: যষ্টিমধু গাছ দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, এবং ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে পাওয়া যায়। এটি বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান এবং চীনেও ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়।

আপনি যদি যষ্টিমধু গাছ লাগাতে চান, তবে এটি বাড়িতে ছোট গাছ হিসেবেও চাষ করা যায়, তবে পর্যাপ্ত রোদ এবং সঠিক মাটি প্রয়োজন।

যষ্টিমধু গুড়া খাওয়ার নিয়ম

যষ্টিমধু গুড়া খাওয়ার নিয়ম

যষ্টিমধু খাওয়ার উপকারিতা

যষ্টিমধু খাওয়ার উপকারিতা, যষ্টিমধু, যা মূলত লিকারিশ রুট নামে পরিচিত, একটি প্রাকৃতিক ভেষজ যা বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত উপকারিতা প্রদান করে। এটি আয়ুর্বেদ এবং প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিতে বহু বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যষ্টিমধুর উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • গলা ব্যথা এবং কাশির জন্য উপকারী যষ্টিমধু গলা ব্যথা উপশম করতে এবং শুষ্ক কাশি কমাতে কার্যকর। এটি শ্লেষ্মা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহ কমায়।
  •  হজমশক্তি উন্নত করে যষ্টিমধু পেটে গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং হজমজনিত সমস্যাগুলির ক্ষেত্রে উপকারী। এটি পাচনতন্ত্রের প্রদাহ কমিয়ে হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
  • ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে যষ্টিমধুতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণাগুণ রয়েছে, যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
  •  চর্মরোগ নিরাময়ে সহায়কযষ্টিমধুর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণাগুণ চর্মরোগ যেমন ব্রণ, ফুসকুড়ি, এবং সোরিয়াসিস কমাতে সাহায্য করে।
  • পেটের আলসার নিরাময় করে যষ্টিমধু গ্যাস্ট্রিক এবং ডিওডেনাল আলসার নিরাময়ে কার্যকর। এটি আলসার নিরাময়ের পাশাপাশি পেটে জ্বালাপোড়া কমায়।
  • মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক যষ্টিমধু শরীরে কর্টিসল হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে, যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এটি মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে কার্যকর।
  •  লিভারের জন্য ভালো যষ্টিমধু লিভার ডিটক্স করতে এবং লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
  • হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক যষ্টিমধু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
  • হাঁপানি এবং ব্রংকাইটিসে উপকারী যষ্টিমধু শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহ কমিয়ে হাঁপানি এবং ব্রংকাইটিসের উপসর্গ লাঘব করে।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক যষ্টিমধুতে এমন কিছু যৌগ রয়েছে যা ফ্যাট জমা হওয়া রোধ করে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে।
  • ব্যবহারের পদ্ধতি:যষ্টিমধু সাধারণত চা, পানীয় বা পাউডার আকারে ব্যবহার করা হয়। তবে দীর্ঘ সময় ধরে অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করা এড়ানো উচিত কারণ এটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, যেমন উচ্চ রক্তচাপ বা শরীরে জল জমে যাওয়া।

পরামর্শ:

যেকোনো ভেষজ উপাদান ব্যবহার করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত, বিশেষত যদি আপনি কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ গ্রহণ করেন বা কোনো রোগে ভুগছেন।

যষ্টিমধু খাওয়ার অপকারিতা 

যষ্টিমধু, যদিও এটি অনেক উপকারী, কিন্তু অতিরিক্ত বা দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা হতে পারে। নিচে যষ্টিমধু খাওয়ার সম্ভাব্য ১০টি অপকারিতা উল্লেখ করা হলো:

 উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি

যষ্টিমধুতে উপস্থিত গ্লাইসিরাইজন (glycyrrhizin) অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের এটি এড়ানো উচিত।

পটাসিয়ামের মাত্রা হ্রাস

যষ্টিমধু অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে শরীরের পটাসিয়ামের মাত্রা কমে যেতে পারে, যা দুর্বলতা, হৃদযন্ত্রের সমস্যা এবং মাংসপেশীর খিঁচুনির কারণ হতে পারে।

  •  জলধারণ সমস্যা (Edema) যষ্টিমধু দীর্ঘ সময় ধরে খেলে শরীরে অতিরিক্ত জল জমে যাওয়া (edema) এবং ফোলাভাব দেখা দিতে পারে।
  •  হরমোনের ভারসাম্যহীনতা যষ্টিমধুতে প্রাকৃতিক হরমোন-সদৃশ উপাদান রয়েছে, যা নারীদের মধ্যে ঋতুচক্রের সমস্যা বা হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে।
  • গর্ভাবস্থায় ঝুঁকি গর্ভাবস্থায় যষ্টিমধু খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এটি গর্ভপাত বা অকাল প্রসবের সম্ভাবনা বাড়াতে পারে।
  •  লিভারের সমস্যা অতিরিক্ত যষ্টিমধু গ্রহণ করলে লিভারের কার্যকারিতায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে এবং লিভারের প্রদাহ বা অন্যান্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
  • রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি যষ্টিমধু রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
  • অ্যালার্জি বা ত্বকের সমস্যা কিছু মানুষ যষ্টিমধু খাওয়ার পরে অ্যালার্জি, চুলকানি, ফুসকুড়ি বা ত্বকের অন্যান্য সমস্যায় ভুগতে পারেন।
  •  অপরিমিত ক্লান্তি ও দুর্বলতা যষ্টিমধু দীর্ঘ সময় ধরে বা বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে শরীরে দুর্বলতা, ক্লান্তি এবং মনোযোগের ঘাটতি হতে পারে।
  •  অপর ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া যষ্টিমধু কিছু ওষুধের কার্যকারিতা কমাতে পারে বা বিপরীত প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষত, রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের ওষুধ এর ক্ষেত্রে এটি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

পরামর্শ:

যষ্টিমধু খাওয়ার আগে একজন বিশেষজ্ঞ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, বিশেষত যদি আপনি দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন বা কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ গ্রহণ করছেন। অতিরিক্ত পরিমাণে এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

যষ্টিমধু খাওয়া প্রাচীনকাল থেকেই ভেষজ চিকিৎসায় জনপ্রিয়। যষ্টিমধু খাওয়ার উপকারিতা এটি প্রাকৃতিকভাবে গলা ব্যথা ও কাশি কমাতে সাহায্য করে, পাশাপাশি হজমশক্তি বাড়ায়। যষ্টিমধুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে এবং মানসিক চাপ কমাতে ভূমিকা রাখে।

তবে অতিরিক্ত সেবন করলে রক্তচাপ বৃদ্ধি, পটাশিয়ামের ঘাটতি এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে। যষ্টিমধু খাওয়ার অপকারিতা বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ বা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের এটি খাওয়ার আগে সতর্ক থাকা উচিত। তাই পরিমিত পরিমাণে ও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে যষ্টিমধু গ্রহণ করাই ভালো।

যষ্টিমধু পাউডার কিনতে এখনই অর্ডার করুন!

HERBOLIFE
সুস্বাস্থ্যের শেষ ঠিকানা!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *